উত্তর কোরিয়ার মানচিত্র এবার গুগল-এর নাগালে
মার্কিন ইন্টারনেট সংস্থা গুগল তাদের মানচিত্র পরিষেবায় এবার উত্তর কোরিয়াও যোগ করলো৷ বহু বছর ধরে সেই সব তথ্য সংগ্রহ করেছেন শখের মানচিত্রবিদরা৷
বিচ্ছিন্ন দেশের নতুন চিত্র
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ প্রচারণার উদ্দেশ্যে আকাশ থেকে ছবি তুলেছে৷ আছে বহিরাগতদের তোলা কিছু ছবিও৷ এই সব বিচ্ছিন্ন ছবি ছাড়া অন্য কোনো উৎস নেই৷ ফলে সামগ্রিক চিত্র পাওয়া কঠিন৷ গুগল এই সব খণ্ডচিত্রগুলি জুড়ে এক সার্বিক চিত্র দিতে চাইছে৷
সীমান্তের এপার-ওপার
গুগল ম্যাপস-এর পুরানো একটি মানচিত্রে দুই কোরিয়ার সীমান্ত অঞ্চল দেখা যাচ্ছে৷ তাতে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে পার্থক্য একেবারে স্পষ্ট৷ দক্ষিণে অসংখ্য এলাকার নাম শোভা পাচ্ছে, উত্তরে প্রায় সবকিছুই খালি৷
সরকারি ভবন, পার্ক বা মেট্রো স্টেশন
শখের মানচিত্রবিদরা বহু বছর ধরে যে সব ছবি সংগ্রহ করেছেন, তার ভিত্তিতেই গুগল উত্তর কোরিয়ার মানচিত্র ভরানোর চেষ্টা করেছে৷ রাজধানী পিয়ং ইয়ং অবশ্যই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে৷ সেখানে হাসপাতাল ও স্কুলও চিহ্নিত করা হয়েছে৷ পার্ক ও মেট্রো স্টেশনও দেখা যাচ্ছে৷
রাজধানীর বাইরে অজানা জগত
পিয়ং ইয়ং শহরের বাইরের জগত এখনো প্রায় অজানা৷ কয়েকটি শহর ও বিমানবন্দর ছাড়া আর প্রায় কোনো তথ্য নেই৷ আছে একটি রাসায়নিক কারখানা ও পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রও৷ ধূসর রঙের কিছু এলাকা নাকি লেবার ক্যাম্প৷ উত্তর কোরিয়ায় আনুমানিক প্রায় দুই লক্ষ মানুষ এমন সব শিবিরে বন্দি৷
ইন্টারনেট সংযোগ বিরল
গুগলের বিভিন্ন পরিষেবা উত্তর কোরিয়ার প্রায় সব মানুষেরই নাগালের বাইরে৷ হাতে গোনা এলিট শ্রেণির কিছু মানুষই ইন্টারনেটে প্রবেশের সুযোগ পান৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, তাদের সংখ্যা কয়েক’শো থেকে বড়জোর হাজার খানেকের মতো৷
তথ্য সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে
উত্তর কোরিয়ার মানুষ শুধু দেশের কিছু ওয়েবসাইটের নাগাল পেতে পারেন৷ তবে বাকি বিশ্বের থেকে বিচ্ছিন্ন সেই পরিষেবা৷ তা দিয়ে রাষ্ট্রের সম্মতি নিয়ে কিছু তথ্য চালাচালি করা হয়ে থাকে৷ কিম জং উন-এর নেতৃত্বেও অবস্থা বদলায় নি৷ তরুণ রাষ্ট্রপ্রধান তাঁর পিতা ও পিতামহের পথে চলেছেন৷
ভরে উঠছে মানচিত্র
উত্তরের মানুষ মানচিত্রের নাগাল না পেলেও দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষের কাছে এই তথ্য বেশ আগ্রহের সৃষ্টি করেছে৷ অনেকের পূর্বপুরুষ উত্তর থেকে এসেছেন৷ অনেকের আত্মীয়-স্বজন এখনো সেখানে থাকেন৷
পিয়ং ইয়ং-এ গুগলের প্রধান
গুগলের প্রধান এরিক স্মিট-এর উত্তর কোরিয়া সফরের কয়েক সপ্তাহ পরেই গুগল সে দেশের মানচিত্র প্রকাশ করলো৷ স্মিট জানুয়ারি মাসের শুরুতে দিন তিনেকের জন্য সে দেশ গিয়েছিলেন৷ ব্যক্তিগত সফর বললেও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর সমালোচনা করেছে৷ তারা বলেছে, বিশেষ করে সাম্প্রতিক রকেট পরীক্ষার প্রেক্ষাপটে এমন সফর মোটেই ‘গঠনমূলক’ নয়৷